190Views 0Comments
আশিকের গল্প শুরু হয় সেই ছাত্রজীবনে। তখন থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার এক বাসনা জাগে তার মনে। এস এস সি, এইচ এস সি শেষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করে পাড়ি দেন যুক্তরাজ্যে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও ব্রিটিশ সংস্কৃতিতে পড়াশুনা করতে যান। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় লক্ষ্য করেন বাংলাদেশের পোশাকের কি দারুন চাহিদা চারিদিকে, এত দামে বিক্রি হয় পণ্যগুলো! ভেবে অবাক হন যে যারা কারিগর, তারা কিন্তু এর প্রাপ্য অংশের কাছাকাছিও পান না। সেখান থেকেই স্বপ্নের শুরু।
২০১৮ সালে অক্সফোর্ডের পড়াশুনা শেষে দেশে ফেরেন আশিক। আর শুরু হয় তার উদ্যোক্তা যাওয়ার যাত্রা। ড্যাফোডিলে পড়াকালীন কিছু জমানো টাকা আর মায়ের থেকে নেওয়া কিছু টাকা থেকে শুরু করেন ছোট, ছয় জন কর্মীর অফিস। ওয়েব ডিজাইন, ই কমার্সের ওয়েবসাইট, গ্রাহক ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার এগুলোই ছিল অ্যাডভার্ট লিমিটেডের কাজ। ব্যাংক থেকে কোটি টাকার লোন যেন সবকিছু বড় করতে উৎসাহিত করে, শুরু করেন ৪০জন কর্মীর প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে মহামারীর ফলে গ্রাহক কমে বদলাতে হয় সবকিছু। এবার নতুন কিছুর পালা।
অফিসের দুইটি রুম রেখে শুরু করেন লাইভ শপিংয়ের দোকান। ক্রেতা বাড়তে থাকে করোনার মধ্যেও। লাইভ শপিং নামেই অনলাইনেও শুরু করেন বিক্রি, আর একে একে কয়েকটি দোকান অফলাইনে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স, মিরপুর, চট্টগ্রাম, উত্তরা সহ বিভিন্ন জায়গায়। অ্যাডভার্টও চলতে থাকে লাইভ শপিংয়ের কারিগরি সেবায়, কম দামে কাচামাল সংগ্রহ করে এই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা আজ ৩০০ কর্মীর জন্যে কর্মস্থল।
আশিক বলেন, “আমার মা-ই আমার অনুপ্রেরণা। তাকে দেখে ব্যবসার অনেক কিছু শিখেছি।”