748Views 0Comments
লুতফর রহমান। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ছাত্র। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক অর্জন করেন। এরপর পড়াশোনা করেন বার্মিংহামের University of Alabama তে। বর্তমানে এসিস্টেন্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। এর আগে তিনি রিসার্চার হিসেবে কাজ করেছেন U.S. Army Combat Capabilities Development Command Army Research Laboratory এ।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন বার্মিংহামের Vincari তে।
বাকি গল্প তার মুখেই শোনা যাক-
“এস এস সি ব্যর্থতার পরে এইচ এস সি লেভেলে প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। ফলাফল ছিল এইচ এস সি তে এ প্লাস এবং বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি। আলহামদুলিল্লাহ।
বুয়েটে প্রথম টার্ম বুঝে উঠার আগেই শেষ হয়ে গেলো। জিপিএ পেলাম ২.৯৪। দ্বিতীয় টার্মে আরো ধস নামলো। মূলত বেশিরভাগ বিষয়ে সি আর ডি গ্রেড পেলাম।
ফলাফল নিতে আমার তখনকার সুপারভাইসর মোহাম্মদ তানভীর পারভেজ স্যারের রুমে গেলাম।
আমার গ্রেডশীট হাতে নিয়ে স্যার বললেন।
জিপিএ ২.৪৪!!! এতো খারাপ কেন জিপিএ ?
আমি মাথা নিচু করে আছি। বলার কিছু নেই। আমার অবস্থা দেখে স্যার বেশি কিছু না বলে একটি বাক্য বললেন।
পরের টার্মে যেন মাথা উঁচু দেখি।
আমি জি স্যার বলে গ্রেড শিট হাতে নিয়ে চলে আসলাম।
পরের টার্মে পেয়েছিলাম ৩.৪২। একবারে ২.৪৪ থেকে ৩.৪২। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বুয়েটে প্রথম সেমিস্টারে আমার রেজাল্ট ছিল ২.৯৩, দ্বিতীয় সেমিস্টারের রেজাল্ট ছিল ২.৪২। সর্বশেষ আমার সিজিপিএ ছিল ৩.০২। আমাদের ক্লাসে ১২৫ জনের মধ্যে সিজিপিএ এর ভিত্তিতে আমার অবস্থান ছিল ৮৮। মেরিট পজিশন ছিল ৫৩ তম। মানে অর্ধেকের বেশি স্টুডেন্ট আমার চেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল। বুয়েটের খারাপ সিজিপিএ নিয়ে বের হয়েও আমি ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে কাজ করছি।”