Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

গল্পটা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্ট্মেন্টের জনপ্রিয় দুই সহকারী অধ্যাপক বায়েজীদ বাতেন স্যার এবং মাশিয়াত হোসেন ম্যাডামের।

দুজনেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের), একই ব্যাচ, একই ডিপার্টমেন্ট, দুজনেই পরবর্তীতে হয়েছেন সেই ডিপার্টমেন্টেরেই শিক্ষক, আবার বিয়ের পর দুজনেই উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাকতালীয় ব্যাপার হলেও এটাই সত্যি! তারা বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিয়নিস (আরবানা, শ্যাম্পেইন) এ।

গল্পের শুরুটা শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকে। ছাত্রজীবনে হাই হ্যালোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা পরিচয়টা প্রফেশনাল জীবনে এসে ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকে। হয়ে যান একে অপরের অনেক ভালো বন্ধু।

বন্ধুত্বটা এতটাই পোক্ত হতে থাকে যে ট্রান্সপোর্টেশনের জ্যামিতিক পরিমাপের বিষয়গুলোর পাশাপাশি একে অপরের ভালোবাসা পরিমাপও চলতে থাকে সমান তালে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের শীয়ার স্ট্রেন্থটা আবদ্ধ হয় ভালোবাসার কংক্রিট বন্ধনে।

স্যার ছিলেন নামে কিছুটা চঞ্চল, ম্যাডাম ছিলেন ক্লাসের নিপাট বাধ্যগত ছাত্রী, স্যার যতটা এডভেঞ্চারাস, ম্যাডাম ততটাই শান্তিপ্রিয়, স্যার ছিলেন স্ট্রাকচার আর জিওটেকের, ম্যাডাম ছিলেন এনভায়রনমেন্ট আর ট্রান্সপোর্টেশন এর। স্যার শিক্ষার্থীদের কাছে যেন স্যার এর থেকেও বেশি বড় ভাই, কিন্তু ম্যাডাম – শিক্ষার্থীদের কাছে পুরোদস্তুর ‘ম্যাডাম’। Eventually opposite attracts! ম্যাডাম এখন অনেকটাই এডভেঞ্চারাস, আর স্যার কিছুটা ধীরস্থির। তবে বিয়ের পাগলামীতে দুজন দুজনকে ছাড়িয়ে গেছেন একে অপরের ঊর্ধ্বে।

বর্তমানে তারা আছেন আমেরিকায়। একে অপরের হাত ধরে ছুটে চলেছেন। কখনো তাদের দেখা যাচ্ছে মিশিগানে অথবা কখনো আইফেল টাওয়ারে।

দুজনেই বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ইলিয়নিস এ CEE ডিপার্টমেন্টে PhD করছেন। দুজনেই পেয়েছেন Environmental Engineering এ ফেলোশিপ! অভিনন্দন অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল এই জুটিকে। কংক্রিটের ন্যায় মজবুত থাকুক আপনাদের ভালোবাসা। অনেক অনেক শুভ কামনা!

Show CommentsClose Comments

Leave a comment

twelve − 4 =

Subscribe to Newsletter

Subscribe to our Newsletter for new blog
posts, tips & photos.