Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

স্বল্প বয়সেই কানাডায়  কর্মের বিশাল পরিধি বাংলাদেশী স্মরণ রহমানের

স্বরণ রহমান। কাজের পরিধির যে বিশালতা তার তুলনায় বয়স অল্পই বটে। এত অল্প বয়সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে। স্মরণ বর্তমানে বসবাস করছেন কানাডায়। কাজ করছেন ‘আইকন মডেল’(আইসিও) এর সাথে যেটি কানাডার সবথেকে বড় মডেলিং প্রতিষ্ঠান। তাদের বিভিন্ন মডেলিং এর কাজ করে যাচ্ছেন স্মরণ। এছাড়াও কানাডায় ফুড ভ্লগিং এ তিনি একজন পরিচিতমুখ। তিনি কানাডায় মডেলিং এর থেকে বর্তমানে ব্র্যান্ড প্রোমোটার হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ফিটনেস এডভাইজর হিসেবে যুক্ত আছেন “গুড লাইফ ফিটনেস কানাডা” এর সাথে। এটি কানাডার সবথেকে বড় জিম। পাশাপাশি একটি কলেজেও লেকচারার হিসবে রয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন বিজনেস।

একদিকে মডেলিং পাশাপাশি ফুডভ্লগিং আবার ফিটনেস এডভাইজিং, একইসাথে তিন দিকে সুনিপুণভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্মরণ। আবার শিক্ষকতাও করে যাচ্ছেন সমান তালে।

স্মরণ রহমানের শিক্ষা জীবন ও-লেভেলস পর্যন্ত হয় বাসায়ই। তিনি হোম স্কুলিং করতেন। বাসাতেই পড়াশোনা করে তিনি এ-লেভেলস এবং ও-লেভেলস সম্পন্ন করেন। এরপর আন্ডারগ্র্যাডে তিনি ভর্তি হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইকোনোমিক্স এবং বিজনেজ স্টাডিজ এ সম্পন্ন করেন স্নাতক। এরপর এমবিএ সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্মরণ বলেন, “হোম স্কুলিং থাকায় জীবনের প্রথম ছাত্রছাত্রীদের সাথে ক্লাস করার অভিজ্ঞতা হয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ভর্তি হওয়ার পর।”

জীবনের প্রথম তার কর্মক্ষেত্রে যোগদান একজন ইংরেজি নিউজ উপস্থাপক হিসেবে। আন্ডারগ্র্যাডে ভর্তি হওয়ার আগেই মাত্র ষোলো বছর বয়সেই তিনি বৈশাখী টেলিভিশনে ইংরেজি নিউজ উপস্থাপনা শুরু করেন। এরপর বৈশাখী টিভির সাথেই ছিলেন চার বছরের মতো। সেখানে সংবাদ উপস্থাপনা, টক শো, বিভিন্ন ফ্যাশন শো সঞ্চালনা করেন স্মরণ। এরপর সিনিয়ির নিউজ উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে। সেসময়ে তার কলিগ হিসেবে ছিলেন বর্তমান ডিডব্লিউ এর জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন। এরপর ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনেও ছিলেন প্রায় চার বছর।

শুধুমাত্র একজন সংবাদ উপস্থাপক নয়, তিনি একশোর ও বেশি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন টুয়েলভ, স্বপ্ন, আমব্রেলা সহ বিভিন্ন লিডিং কোম্পানির সাথে। স্মরণ রহমান মজার ছলে বলেন, “যেহেতু আমার হোমস্কুলিং ছিলো, তাই আমি কথা বলা কিংবা বকবক করতে পারিনি আগে, সেই জমে থাকা কথাগুলোই বলেছি পরে।” স্মরণের মতে, “কমিউনেকশন অনেক জরূরী একটা বিষয়। কাউকে নিজের কথা বোঝাতে পারাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি নিজের কথা গুছিয়ে কাউকে বোঝাতে না পারেন সেটি হচ্ছে আপনার প্রথম ব্যর্থতা।”

এছাড়াও স্মরণ জড়িত ছিলেন বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সাথে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়েও কাজ করতেন তিনি। দীর্ঘ আট বছর যুক্ত ছিলেন ‘দি হিউমান এইড ফাউন্ডেশনে’ এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার এই অসাধারণ কমিউনিকেশন স্কিল নিয়ে তিনি বলেছেন, “Try to wear the shoe of the other person.” অন্যজনের জায়গায় নিজেকে রেখে চিন্তা করতে বলেন স্মরণ।

আজকের এই জায়গার পৌঁছানোর পিছনে অনেকের সহায়তা এবং উৎসাহের কথা জানান তিনি। এছাড়াও জীবনে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন ধাক্কা খেয়েছেন তার এই কর্মজীবনে। তার কর্মজীবন শুরু হয় মিডিয়া জগত থেকে। সেখান থেকে ব্র্যান্ড লাইভ প্রেজেন্টর, ফুড ভ্লগিং, ফিটনেস এডভাইজর এবং শিক্ষকতা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেখেছেন নিজের ছাপ।

শর্টস্টোরিজ এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন বর্তমান পর্যায়ে আসার জার্নি, কিভাবে এতকিছুর সাথে যুক্ত হলেন। তার পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র নিয়ে কথা বলছেন Short Stories টিমের সাথে একান্ত ইন্টারভিউ এ।

Show CommentsClose Comments

Leave a comment

2 + three =

Subscribe to Newsletter

Subscribe to our Newsletter for new blog
posts, tips & photos.